ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫ , ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ ভিড় বাস-ট্রেন-লঞ্চে প্রাথমিক শিক্ষার স্তরে বড় পরিবর্তন নির্বাচনের ট্রেনে বাংলাদেশ তাপপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা গরমে হাঁসফাঁস খিলগাঁওয়ে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার দেশে ফিরেছেন ১২ হাজার ৮৭৭ হাজি, মৃত্যু ২৬ জনের রাজধানীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত ২ বান্দরবান ঝিরিতে ভেসে যাওয়া ৩ পর্যটকের দ্বিতীয় জনের লাশ উদ্ধার কৃষিগুচ্ছের চতুর্থ ধাপের চূড়ান্ত ভর্তি ১৮ জুন নিজ এলাকায় অবরুদ্ধ নুর, সেনাবাহিনী যাওয়ার পর ফিরলেন কমলাপুরে মাইকিং করেও মাস্ক পরানো যাচ্ছে না বন্ধ হওয়ার দুদিন পর দর্শনার্থীদের জন্য আবারও উন্মুক্ত রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি ঢাকায় সংগ্রহ হয়েছে ৭৫ হাজার চামড়া ‘আওয়ামী দোসর নয়, কর্মজীবী নারীর স্বীকৃতি চাই’ টিকা থেকে বঞ্চিত দেশের বিপুল সংখ্যক শিশু ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সমুদ্রে মাছ আহরণে প্রস্তুত জেলেরা বরগুনায় ডেঙ্গুতে দু’জনের মৃত্যু উত্তরায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে হত্যা মামলার আসামি মার্জিয়া ওয়াসার পানিতে ছড়াচ্ছে বিভিন্ন রোগের জীবাণু সুন্দরবনে ডাকাত আতঙ্ক মধু আহরণ কমেছে

ইউনূসকে সাক্ষাৎ দিচ্ছেন না স্টারমার

  • আপলোড সময় : ১৩-০৬-২০২৫ ১২:৩০:৫৭ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৩-০৬-২০২৫ ১২:৩০:৫৭ পূর্বাহ্ন
ইউনূসকে সাক্ষাৎ দিচ্ছেন না স্টারমার
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুরোধে সাড়া দেননি বলে খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। চার দিনের সরকারি সফরে বর্তমানে যুক্তরাজ্যে আছেন ইউনূস। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে পাচার হওয়া কয়েক বিলিয়ন ডলার উদ্ধারের চেষ্টায় সমর্থন আদায়ের চেষ্টা তার এ সফরের অন্যতম লক্ষ্য। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, আগের সরকারের আমলে ‘চুরি যাওয়া’ অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশের নতুন সরকারকে সহায়তা করার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ‘নৈতিক দায়বদ্ধতা’ অনুভব করা উচিত, কারণ এ অর্থের বড় একটি অংশ এখন যুক্তরাজ্যেই রয়েছে বলে অভিযোগ আছে। ইউনূস ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, স্টারমার এখনো তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজি হননি। অবশ্য স্টারমারের সঙ্গে তার সরাসরি কথা হয়নি। তবে ইউনূস এও বলেছেন, পাচারের অর্থ ফেরাতে বাংলাদেশের চেষ্টায় স্টারমার যে সমর্থন দেবেন, সে বিষয়ে তার কোনো ‘সন্দেহ নেই’, কারণ তার ভাষায়, “এগুলো চুরির টাকা।” ফিন্যান্সিয়াল টাইমস লিখেছে, অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কোনো পরিকল্পনা যে স্টারমারের আপাতত নেই, যুক্তরাজ্য সরকারের কর্মকর্তারাও সেটা নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে তারা রাজি হননি। ‘চুরির অর্থ’ খুঁজে পেতে ব্রিটিশ সরকার ইতোমধ্যে সহায়তা করছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, ওই অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশকে সহায়তা করার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের ‘আইনি ও...নৈতিক’ বাধ্যবাধকতা অনুভব করা উচিত। আর এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে ‘আরো আন্তরিক সহায়তা’ বের করে আনা ছিল তার এবারের সফরের লক্ষ্য। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছর আগস্টে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপর শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠজনদের দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস লিখেছে, দুর্নীতির যে তদন্ত বাংলাদেশে শুরু হয়েছে, তাতে যুক্তরাজ্যে কিয়ার স্টারমারের দল লেবার পার্টির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার হুমকি তৈরি হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সমালোচনার মধ্যে গত জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, যিনি বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি। স্টারমারের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত টিউলিপের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট উপহার নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে টিউলিপ কোনো ধরনের অনিয়মের কথা অস্বীকার করেছেন। এ মাসের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে চিঠি দিয়ে লন্ডন সফরের সময় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন টিউলিপ। এই ব্রিটিশ এমপি বলছেন, বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন যে ‘ভুল-বোঝাবুঝি’ তৈরি করেছে, ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তা তিনি দূর করতে পারবেন। তবে ইউনূস ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিককে তিনি সাক্ষাৎ দেবেন না। “এটা একটা আইনি বিষয়...একটা আইনি প্রক্রিয়া। এটা আমার ব্যক্তিগতভাবে যুক্ত হওয়ার মত কোনো বিষয় নয়।” ইউনূস অভিযোগ করেন, গত ১৬ বছরের শাসনামলে শেখ হাসিনা তার ক্ষমতাকে তার আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনদের জন্য ‘অর্থ আত্মসাতের সুযোগে’ রূপান্তরিত করেছিলেন। “এটা ছিল বড় ধরনের এক লুটপাট প্রক্রিয়া,”বলেন তিনি। বাংলাদেশ সরকারের হিসাবে, শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার দেশ থেকে পাচার হয়েছে, যার বড় একটি অংশ গেছে যুক্তরাজ্যে। ইউনূস বলছেন,কানাডা, সিঙ্গাপুর, ক্যারিবীয় অঞ্চল ও মধ্যপ্রাচ্যও এই চুরি যাওয়া অর্থের গন্তব্য ছিল। যুক্তরাজ্য সফরকে ওই অর্থ উদ্ধারের চেষ্টার ‘শুরু’ হিসেবে বর্ণনা করে ইউনূস বলেন, আরও দেশ সফরের পরিকল্পনা রয়েছে তার। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন খাত-ব্যবসা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছ থেকেও সহায়তা চায় তার সরকার। তিনি বলেন, “গ্রেট ব্রিটেনের জনগণের সমর্থন আমাদের দরকার।” যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি গত মাসে শেখ হাসিনার একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীর ছেলের নামে লন্ডনে থাকা দুটি ফ্ল্যাট অবরুদ্ধ করেছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স